কুৎসার রাজনীতি করে ক্ষমতায় আসতে চাইছে বিজেপি : জয়া দত্ত

1st September 2020 9:00 pm বর্ধমান
কুৎসার রাজনীতি করে ক্ষমতায় আসতে চাইছে বিজেপি : জয়া দত্ত


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  আগামী বিধানসভায় রাজ্যের মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বসবেন।কুৎসার রাজনীতি করে এই রাজ্যে বিজেপি মসনদ দখল করতে চাইছে।যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।আর ওদের এই ভাবনাটাও মূর্খের স্বর্গে বাস করার মতো।রাজ্যের মানুষ সঠিক সময়ে ঠিক তার জবাব দেবে।’পূর্ব বর্ধমানের কালনায় মঙ্গলবার তৃণমূলের এক রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে এসে বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিজেপির বিরুদ্ধে এইভাবেই তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদিকা জয়া দত্ত।কালনার নিভুজির এই অনুষ্ঠানে জয়া দত্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু,রেজাউল ইসলাম মোল্লা(রানা) সহ অন্যান্যরা।
                         কালনার এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্তের সুর ছিলো সপ্তমে।কেন্দ্রের সরকার ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হোন তিনি।এরপরেই কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রশ্নে বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে জয়াদেবী বলেন,‘করোনা আবহে দেশের সাধারণ মানুষ যখন আতঙ্কিত ঠিক সেই সময়েই শিক্ষার মতো একটা ইস্যুকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।সকলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর না দিয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়েও রাজনীতি শুরু করেছে এই সরকার।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে শিক্ষার উন্নয়নে ৪৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ তৈরী করেছেন।স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সুপার ষ্পেশালিটি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প এনেছেন।সেখানে নরেন্দ্র মোদির সরকার কি করেছে এই প্রশ্নটাই আজ সাধারণ মানুষের মুখে-মুখে ঘুরছে।’আরো একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন ‘এই রকম একটি পরিস্থিতিতে সাধারণ গরীব মানুষের কথা না ভেবে শিল্পপতি পুঁজিপতিদের কথা ভাবছে কেন্দ্রের সরকার।দেশের সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দিচ্ছে।দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।’আগামী বিধানসভা নির্বাচণ প্রসঙ্গে জয়া দত্ত বলেন,‘শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য,শহর থেকে গ্রাম,কৃষিকাজ থেকে শিল্পের উন্নয়নে তৃণমূল সরকার প্রচুর কাজ করেছে এই রাজ্যে।’আরো একধাপ এগিয়ে কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে একহাত নিয়ে তিনি বলেন,‘ বাংলা সহ দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী।আর তার প্রতিরোধ গড়ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মোদীর দ্বিচারিতার প্রতিবাদে রাজ্যের নেত্রী সরব হয়েছেন।আর তার ঢেউ আছড়ে পড়েছে দিল্লী থেকে সারা দেশে।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।